আমার ব্লগ তালিকা

সোমবার, ২৪ জানুয়ারী, ২০১১

স্বর্ণা হত্যার ঘটনাটি নির্মম, পৈশাচিক এবং বর্বরতাকেও হার মানায়

পাবনা, ২৪ জানুয়ারীঃ ঘটনাটি নির্মম এবং পৈশাচিক। মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়। ঘটনাটি যে দেখেছে সেই কেদেঁছে। নির্মম এমনি একটি ঘটনা ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদীর দিয়ারবাঘাইল গ্রামে। স্বর্ণা খাতুন নামে এস এসসি পরীক্ষার্থীকে ধর্ষনের পর হাত পা ভেঙ্গে এবং চোখ উঠিয়ে হত্যা করে তার লাশ একটি মেহগনি গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছিল সন্ত্রাসীরা। এলাকাবাসির খবওে, পুলিশ  সোমবার সকালে মেহগনী গাছের ডালে তার ঝুলন্তô লাশ উদ্ধার করে। স্বণার লাশ দেখতে হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। এ ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সুত্র জানায়, ঈশ্বরদীর দিয়ারবাঘাইল গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে এসএসসি পরীক্ষাথী স্বর্ণা খাতুন (১৫) কে রোববার রাত ১১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে জোর করে তুলে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এরপর পাষণ্ডরা ধর্ষনের পর হাত তার পা ভেঙ্গে এবং ডান চোখ উঠিয়ে তাকে হত্যা করে লাশটি বাড়ী থেকে প্রায় ২শ’ গজ দুরে একটি মেহগনি গাছের ডালের সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। সারা রাত বাড়ীর লোকজন স্বর্ণাকে ব্যাপক খোঁজাখুজি করতে থাকে। অবশেষে গতকাল সোমবার সকাল ৯ টায় রোজিনা নামের এক প্রতিবেশী স্বর্ণার ঝুলন্তô লাশ দেখে চিৎকার করলে তার বাবা মা স্বর্ণার ক্ষত বিক্ষত লাশ দেখতে পায়। স্বর্ণার  শরীরে অসংখ্য ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।
স্বর্ণার বাবা শহিদুল ইসলাম জানান, তার মেয়েকে একই গ্রামের পলান শেখের ছেলে আনোয়ার বিয়ে করতে না পেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রাখছে।
এ ব্যাপাওে, ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সামিউল আলম জানান, স্বর্ণার পরিবারের কথা শুনে মনে হচ্ছে হত্যাকাণ্ডটি প্রেমঘটিত কারণেই হয়েছে। তবে, তদন্ত করে বিষয়টি পরিস্ড়্গার বলা যাবে। পুলিশ সোমবার দুপুরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্ত kর পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। এদিকে স্বর্ণার বাবা শহিদুল ইসলাম থানায় মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

রবিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১১

পরকীয়ায় পুরুষও নির্যাতিত


পরকীয়ায় পুরুষও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন স্ত্রীর পরকীয়ার কারণে এসব নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে পরকীয়াকে কেন্দ্র করে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছেবিচ্ছিন্ন কিছু ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলেও অনেক ঘটনাই থেকে যাচ্ছে অন্তরালে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে পারিবারিক মূল্যবোধের অবক্ষয়ের কারণেইপুরুষ স্ত্রী বা তার পরিচিতদের দ্বারা নির্যাতিত হচ্ছেন সমাজবিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, অবস্থা চলতে থাকলে শীঘ্রই পাশ্চাত্যের মতো আমাদের দেশেওপারিবারিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবে

বাংলাদেশের
যুব সমাজের ওপর আচরণগত বেইজ লাইন সার্ভে শীর্ষক গবেষণার তথ্যমতে, বাংলাদেশের শহর গ্রামাঞ্চলে ষাটের দশকের তুলনায় বর্তমানেবিবাহবহির্ভূত বিবাহপূর্ব অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পরিমাণ তিনগুণ বেশি বর্তমানে প্রতি ১০ জনের মধ্যে তিনজনকেই অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তেদেখা যাচ্ছে জানুয়ারি যাত্রাবাড়ীতে ওবায়দুল কাদের (৩২) তার স্ত্রী রেহানা বেগমের ছেলেবন্ধু লাভলুর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে খুন হন তাছাড়ানাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার বারইপাড়া গ্রামে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে রাশেদা বেগম নামের এক নারীর স্বামী ফুফাতো ভাইয়ের মৃত্যু হয়েছে দুলালহোসেনের স্ত্রী রাশেদা বেগমকে শুকুর আলী নামের এক ব্যক্তির সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় দেখেন রাশেদার ফুফাতো ভাই শামসুল ইসলাম ঘটনার কয়েকদিন পর শামসুল ইসলাম নিখোঁজ হন জানুয়ারি রাশেদা বেগমের বাড়িসংলগ্ন বড়াল নদীতে শামসুল ইসলামের বস্তাবন্দী লাশ পাওয়া যায় পুলিশ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে রাশেদার স্বামী দুলাল হোসেনকেও থানায় নিয়ে প্রশ্ন করে ছেড়ে দেন এর ফলে অপমানিত হয়ে দুলাল হোসেন জানুয়ারিগলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন

এদিকে
২৯ ডিসেম্বর রাজধানীর পল্লবী এলাকায় আরিফ হোসেন (৩০) নামের এক পোশাকশ্রমিককে তার স্ত্রী আনোয়ারা আত্মীয় ভাড়াটে সন্ত্রাসীদেরসহযোগিতায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারাত্মক আহত করে ঘর থেকে বের করে দেন আরিফ আনোয়ারাকে পাঁচ বছর আগে বিয়ে করেছিলেন আনোয়ারারআগের সংসারে দুই এবং আরিফ হোসেনের সংসারে এক সন্তান রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক . এস এম আমানউল্লাহবলেন, মূলত যুব সমাজের মধ্যে জীবনমুখী শিক্ষার অভাব পাশ্চাত্য সংস্কৃতির অনুকরণের কারণে দেশে পরকীয়ার ঘটনা বাড়ছে এর শিকার হচ্ছেননারী-পুরুষ উভয়ই . আমান বলেন, আগামী এক দশকের মধ্যে দেশের শিক্ষাব্যবস্থায় নৈতিকতাবিষয়ক শিক্ষা, গণমাধ্যমে সুষ্ঠু প্রচারযোগ্য অনুষ্ঠান পারিবারিক মূল্যবোধ তৈরির ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে অন্যথায় পাশ্চাত্যের মতো আমাদের দেশেও পারিবারিক সম্পর্কে ভাঙন ধরবেমানবাধিকার কর্মী অ্যাডভোকেট এলিনা খান পরকীয়ার ঘটনাগুলোকে 'এক্সট্রা ম্যারেটিয়াল অ্যাফেয়ার্স' নামে অভিহিত করেন তিনি বলেন, সম্পর্কগুলোতেএকজন ব্যক্তি মানসিক সম্পর্কের তুলনায় আর্থিক সম্পর্ককেই বেশি গুরুত্ব দেন সাধারণত অবৈধ সম্পর্কের ক্ষেত্রে এক পক্ষ অপর পক্ষকে বিয়ের জন্য বাঅর্থের জন্য চাপ প্রয়োগ করে থাকেন এবং কোনো কারণে বাধাগ্রস্ত হলে তারা হিংসার বশবর্তী হয়ে হত্যার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িয়ে পড়েন

সোমবার, ৩ জানুয়ারী, ২০১১

এবার নরসিংদীতে ইভটিজারদের হাতে এক হতভাগ্য বাবা খুন

পুত্র ও পুত্র বধূকে ইভটিজারদের হাত থেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হয়েছেন এক ব্যবসায়ী বাবা। নিহত ব্যবসায়ীর নাম রতন ভূঞা (৫০) ও আহত পুত্রের নাম রবিন ভুঞা। হতভাগ্য পিতা পুত্রের বাড়ি নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার রহিমাবাদ গ্রামে। গতকাল সোমবার ডাক ও টেলিযোগাযগ মন্ত্রী রাজি উদ্দিন আহমেদ রাজুর গ্রামের বাড়ি আদীয়াবাদের পাশের  রহিমাবাদ গ্রামে এ নির্দয় ঘটনা ঘটেছে।
আহত পুত্র রবিনের স্ত্রী আদীয়াবাদ কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী সোনিয়া আক্তার। সকালে স্ত্রী সোনিয়া ও তার সহপাঠি শান্তা, হনুফা মিতু এবং সেলিনা, হাসনাবাদ বাজারে অলিউল্লা সারের নিকট থেকে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফেরার পথে স্বামী রবিনের দোকানের সামনে পৌঁছলে আগে থেকেই উৎ পেতে থাকা বখাটে যুবক সোহেল, জসিম উদ্দিন  ও রাজিব তাদের গতিরোধ করে এবং এক পর্যায়ে ,  বখাটেরা কলেজ ছাত্রীদের যৌন হয়রানীর চেষ্টা চালায়।
এসময় স্ত্রীকে চোখের সামনে উত্যক্ত করায় স্বামী রবিন প্রতিবাদ করলে বখাটে ইভটিজাররা রবিনকে বেদড়ক মারধর শুরু করে। তাদের হাত থেকে বাচার জন্য রবিন,তার স্ত্রী এবং অন্যান্য ছাত্রীদের ডাক চিৎকারে আশে পাশের লোকজনসহ ব্যবসায়ী পিতা রতন ভূঞা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে পুত্রকে বাচাতে চেষ্টা চালায়। পরে বখাটেরা বৃদ্ধ বাবাকেও এলাপাতারি মারপিট করতে থাকে। এসময় ভয়ে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যায়। ইভটিজারদের বেদড়ক পিটুনিতে একপর্যায়ে রতন ভূঞা মাটিতে লুটে পড়ে। পরে, বখাটেরা মৃত ভেবে গ্রামবাসীকে হুমকী দিয়ে বীর দর্পে পালিয়ে যায়। খুনিরা পালিয়ে গেলে তার স্বজন ও এলাকাবাসী  তাকে আশংকাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ও পরে ঢাকা নেয়ার পথে বিকালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। এদিকে, এ ঘটনায় পুরো জেলাব্যাপী তীব্র ক্ষোভের সন্‌চার হলেও পুলিশ এ ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে কোন অপরাধিকে গ্রেফতার করতে পারেনি।

মঙ্গলবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০১০

জয়পুরহাটে তরুণী উত্যক্ত প্রতিরোধে মার্শাল-আর্ট প্রশিক্ষণ


Rqcyinv‡U ÔZi“Yx D˨³ cÖwZ‡iv‡a gvk©vj-AvU© cÖ‡qvMÕ wel‡q GK cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvab Kiv n‡q‡Q| G mgq e³viv e‡jb, ÔBfwUwRs GKwU mvgvwRK e¨vax| ZvB, ïay AvBb K‡i bq, BfwUwRs cÖwZ‡iv‡a cvwievwiK I mvgvwRK m‡PZbZv e„w×i cvkvcvwk bvix‡`i‡K Av‡iv cÖwZev`x nIqvi Avnevb Rvbvb e³viv|

g½jevi `ycy‡i Avj‡niv GKv‡Wgx cÖv½‡b IB cÖwk¶Y Kg©kvjvi D‡Øvabx Abyôv‡b e³e¨ iv‡Lb- cywjk mycvi †gvRv‡¤§j nK, evsjv‡`k Ry‡Wv †dWv‡ik‡bi mn mfvcwZ Avãyj Kvw`i, ‡Rjv AvÕjx‡Mi mn mfvcwZ Aa¨¶ LvRv mvgmyj Bmjvg cÖgyLmn Ab¨vb¨iv|

বখাটের উৎপাতে ভোলায় এবার মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা

এবার বখাটের উপাতে ভোলায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে  গত সপ্তাহের রোববার নিজ ঘরে ওড়না দিয়ে ফাঁসিতে জাকিয়া বেগম (১৭) নামের ওই ছাত্রী আত্মহত্যা করে জাকিয়া তজুমদ্দিন উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের কেয়ামুল্যা গ্রামের সফিউল্ল মিস্ত্রির মেয়েসে চাঁদপুর ইসলামিয়া মহিলা মাদ্রাসার আলেম ১ম বর্ষের ছাত্রী ছিল  নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে এলাকার বখাটে মুরাদ তাকে উত্ত্যক্ত করতবিষয়টি মুরাদের অভিভাবককে জানানো হলে সে আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠে  এ অবস্থায় জাকেয়ার পরিবার তার বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়এতে, মুরাদ জাকিয়ার বিরুদ্ধে নানা কুসা রটানোর হুমকি দেয়  তজুমদ্দিন থানার ওসি আব্দুর রশিদ ভূইয়া বলেন, ময়নাতদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছেমামলার প্রস্তুতি চলছে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, মেয়েটিকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে  প্ররোচণাকারী মুরাদ পলাতক রয়েছে বলেও তিনি জানান নিহতের ভাই ইউসুফ হোসেন বলেন, "বখাটের উপাতের কারণে জাকিয়ার পড়ালেখা বন্ধ করে বিয়ে ঠিক করেছিকিন্তু তাতেও মুরাদের উপাত বন্ধ হয়নিসে আমার বোনকে বাঁচতে দিল না।"

বৃহস্পতিবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১০

একাধিক প্রেম ও সহিংসতা

রাজধানীতে অনেক মেয়েরাই একইসঙ্গে চালিয়ে যাচ্ছে একাধিক প্রেম। মেয়েদের প্রতি পুরুষের দূর্বলতার সুযোগটাই গ্রহণ করছে তারা। সবার কাছে তারা যেন এক নি:ষ্প্রাপ নারী। সবার কাছ থেকেই সুযোগ ও সুবিধা নিয়ে থাকে তারা। এক্ষেত্রে, তারা আশ্রয় নেয় মিথ্যা আর ছলনার। আর এরকম মেয়েদের পাল্লায় পড়ে অনেক সরল ছেলেরা হারায় তাদের সময় আর অর্থ। অনেক সময় মেয়েদের ছলনার এসব খবর জানতে পেরে মেয়েদেরকে হত্যা পর্যন্ত করে ফেলে কেউ কেউ। কয়েকটি ঘটনার মাধ্যমে তা তুলে ধরার চেষ্টা করা হলো—
একাধিক পুরুষের সঙ্গে প্রেম ছিল আসমা আক্তার মণির। চাঁদপুর সরকারি থেকে ১ম বর্ষ শেষ করে তিতুমীর কলেজে ২য় বর্ষে ভর্তি হয় মণি। নানা ছলচাতুরিতে বশে রাখে অনেককে। ঢাকায় আসার আগেই চাঁদপুর থাকতেই প্রেম করেছে অনেকের সাথে। আর ঢাকায় আসা চাকরীর সুবাধে। আর এখানে এসেও চালায় একাধিক পুরুষের সাথে প্রেম।  একেক সময় সে একেক জন নিয়ে ডেটিং করতো। চাকুরীতে আসা যাওয়া ও কলেজের আসা-যাওয়ার পথে তাকে সঙ্গ দেয় বিভিন্ন পুরুষ। সবার কাছ থেকে সে বিভিন্নভাবে সুযোগ সুবিধা আদায় করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পুড়ুয়া ছেলে ইমনকে এরইমধ্যে কাবু করে ফেলেছে সে। ছেলের বাড়ি অন্য জেলায়। তাতে কি? তার কাছ থেকে সুযোগ নেয়া তো যাবে—এমন চিন্তা মণির।
হোস্টেলের বান্ধবীর বয় ফেন্ড লিটনের এক বন্ধুর সাথে পরিচয় হয় মণির। তার সাথেও চলে মণির ভাব। কিন্তু, কোন এক দিন ড্রিংস করার কারণে তাদের সাথে সম্পর্ক ভেঙ্গে যায়।
এ ঘটনায় ইমনের সাথেও কিছুটা সম্পর্ক টান পড়ে মণির। এমন সময় হঠাৎ ফেসবুকে ইমনের লিস্টের মাধ্যমে পরিচয় ঘটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক ছেলে রিয়েলের সাথে। ছেলে হ্যান্ডসাম বলে তার সাথে আবার মণি শুরু করে প্রেম। এবার তাকে বলে আমি তোকে বিয়ে করবো। কিন্তু, রিয়েল, ইমনের বন্থু হওয়ায়, কয়েক দিন মণির সাথে যাতায়াতের খবর জানতে পারে ইমন। পরে, ইমন সব জানায় বন্ধু রিয়েলকে। পরে রিয়েল সরে আসে মণির কাছ থেকে।
এ অবস্থায় মণির সাথে পরিচয় ঘটে রিয়েলের আরেক বন্ধু চাঁদপুরের পলাশ। পলাশকে কিছুটা তথ্য জানায়-ইমন তোর এলাকার মেয়ে ঢাকা এসে সবার সাথে প্রেম করে বেড়াচ্ছে। এমন সব করছে। এ সুযোগ নেয় পলাশ। ইমনের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে মণির সাথে এবার নিজেই প্রেম শুরু করে পলাশ। বাড়িতে যাওয়া-আসার সময় লঞ্চের কেবিনে করে যাতায়াত করে তারা। হঠাৎ এসব জেনে যায় ইমন। চটে যায় মণির উপর। মণিও রেগে যায়। বলে তোর মতো ছেলে না হলে আমার চলবে। শুরু করে পলাশের সাথে গভীর প্রেম। এমন সময় পলাশ জানতে পারে-মণি অফিসেরও অনেকের সাথে প্রেম করছে। এমন সময় সে মণিকে হুমকি দেয়। এখন ভয়ে মণির পড়াশোনা বন্থ হওয়ার উপক্রম। এসব ঘটনা জেনে যায় মণির পরিবার। পরিবার ঢাকায় এসে মণির খোঁজ নেয়। তাতে, মণির দোষ ধরা পড়ে। তবে, গ্রামের সহজ সরল মেয়ে ঢাকায় এসে পরিবর্তন—তা বিশ্বাস করতে চায়নি তার পরিবার।
এরইমধ্যে, মণি একরাতে হোস্টেলের বাইরে থাকে। এ খবর জানতে পারে ইমন। ইমনকে নিয়ে নিয়ে অফিসে যায়। অফিসে চালায় তর্কাতর্কি। পরে, অফিস তাকে চাকুরীচ্যূত করে। এখন সব কিছু হারিয়ে মণি পাগল প্রায়—এক সময় আত্মহত্য করার চেষ্টা করে। এসময় মণিকে সহায়তার হাত বাড়ায় এক বন্ধু। তার চেষ্টায় কিছুটা জীবন পায় মণি---
মণির মতো এরকম অনেক মেয়ে আছে যারা এরকমভাবে অনেকের সাথে প্রেম করছে। আর ছেলেরা হচ্ছে বোকা। অনেক সময় এরকম ঘটনার কারণে সমাজে ঘটে ইভটিজিংয়ের মতো ঘটনা। ঘটে হত্যাসহ নানা রকম সহিংসতা। এরকম সহিংসতা সমাজ থেকে বন্ধ হোক-এমন প্রত্যাশা সবার।

মঙ্গলবার, ১৪ ডিসেম্বর, ২০১০

আমি ও আমাদের দুঃখ


মেয়েদের নিয়ে কত স্বপ্নই না বাবা মায়েরবড় হয়ে একদিন মা বাবার স্বপ্নপূরণ করবে তারাস্বপ্ন পূরণে অনেকে গ্রাম, গঞ্জ থেকে শহরে পারি জমায় ক্যারিয়ার তথা চাকরির উদ্দেশ্যেএক্ষেত্রে, মধ্য পরিবার, গরীব পরিবারের সংখ্যা কম নয়তবে বেশিরভাগই শহরে পারি জমায় ধনীর দুলালীরাকেউবা উচ্চ শিক্ষার সুযোগ পেয়ে ভর্তি হয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেতবে, সীমিত সুযোগ থাকায়, অনেককে ভর্তি হতে হয়, প্রত্যন্ত গ্রামেই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েমনের কষ্ট চেপে তাই তারা আবার চেষ্টা করে প্রথম বর্ষ শেষ করে, দ্বিতীয় বর্ষে শহর বা ঢাকায় স্থানাস্তরিত হতেকিন্তু সবার কি স্বপ্ন পূরণ হয়কত বাঁধা, কত বিপদ, কত দুঃখ আর কষ্ট করে বড় হতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার ঝড়ে পড়ে শহরের নানা বৈচিত্রময়, অজানা আর অকল্পিনীয় গল্পের মতো করেতার জ্বলন্ত উদাহরণ ইডেনের মেয়েদের বর্তমান হালচালআবার অনেকে আছেন যারা ইডেনে থাকেন না থাকেন কোন মেস, হোস্টেল বা বাসা বাড়ির সাবলেটেতারই একটি নমুনাছন্দ নামে কিছুটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হলো

মেয়েটির নাম মণিবাড়ি দরলাম কোন এক জেলা···বাবা মায়ের বড় মেয়েছোট ভাই আছে, চোখে কম দেখেতাই ভাইটিকে নিয়ে অনেক বড় স্বপ্ন দেখার সুযোগ নেই মায়েরআছে ছোট্ট আরেক মেয়ে তবে তার হাতে সমস্যাঅনেকটা জন্ম থেকেই অবশ ছোট্ট মেয়েটিতাই বাবা মায়ের যেন সব স্বপ্ন মণিকে নিয়েমণিকে তাই গ্রামের ছোয়া না লাগিয়ে জেলা শহরে নানির বাড়ি থেকে পড়াশোনা করালো বাবা মাভাল ফল করলো এসএসসিতেতার ধারাবাহিকতা রইলো এইচএসসিতেওএবার উচ্চ শিক্ষার পালামেয়ে ভর্তি হবে কোন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে নেই যথার্থ গাইডলাইনকে দেখাবে হালনিজের চেষ্টাই দুবার চেষ্টা করলো মেয়েটি ঢাবি, জাহাঙ্গীর নগরসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েতবে ঠেকিয়ে রাখলো অগাধ প্রতিযোগিতাপিছনে পড়লো অনেকটামনের দুঃখ চেপেই রইল মেয়েটিরতবে চান্স পেলো জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েকিছুটা আশা নিয়ে প্রথম বর্ষ শেষ করলো সেদ্বিতীয় বিভাগে পাশ করে অনেকটা আশা নিয়ে চেষ্টা করলো ঢাকায় আসারতবে ঢাকায় থাকার খরচ পাবে কোথায় বাবা মা তো বিয়ে দিয়ে বিদায় করলেই পারেঢাকা অনেক বড় ভাই আত্নীয় স্বজনের কাছ থেকে কিছু একটা করার চিন্তা করলোঅনেকে দেখালো পার্ট টাইম বা কোন ছোট খাট চাকরি করার কিছু সুযোগভাগ্যের কারণে চেহারা ভাল থাকায় শহরের চাকরি ভাগ্যে জুটলো মেয়েটিরঅনেক আশা নিয়ে পাড়ি দিলো ঢাকায়আসলো ইডেন কলেজে ভর্তি হতে

তবে মেয়েটি থাকবে কোথায়টাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা আবাসনকথায় বলে--- বাবা তুমি এক পেট খেয়ে যাও তাও ভাল তবে থাকবে দিতে পারবো নাঅনেকটাই সত্যি ঢাকা শহরেএক বড় ভাইকে বলে একটা হোস্টেল ম্যানেজ করা গেলস্থান ফার্মগেট, তেঁজকুণিপাড়াঅনেক ম্যাসই গড়ে উঠেছে এখানেতবে মেয়েদের মেসের সংখ্যা নেহায়েতই কমআর যেগুলো আছে গাদা গাদি করে থাকতে হয় মেয়েদেরঅনেকে আবার থাকে নিচে ও উপরে করেঢাকায় এক ফ্লাটে দুতলা করে থাকে এমন আবাসন আমার মনে হয় মেয়েদেরই কপালেতবে পড়বে না কেন  কেউ তো মেয়েদের থাকার জন্য বাসা দিতে চায় নাঅনেকে কোন মতে একটি ফ্লাট ভাড়া নিয়ে তা আবার মেস বানিয়ে ডবল হারে ব্যবসা করছেএ ব্যবাসা থেকে আবার জীবিকা নির্বাহ করছে অনেকেতাই মেয়েদের উপর তো চাপ পড়বেইএসব মেসের বা হোস্টেলের সমস্যার কথা কি বলবোখেলেও না খেলেও টাকা প্রতি মাসে স্থায়ী তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার দিতেই হবেনেই ভাল বাথরুম, পানি সমস্যা, গ্যাস নেই, বিদুø তো থাকেই নাখাবারের মান একতরফাযা দিবে তাই খেতে হবেআর কিছু নিজে থেকে কিনতে গেলে অনেক দামএতো গেলো হোস্টেলের অবস্থাচাকুরি করতে যেয়ে, গাড়ি দিয়ে আসা এবং যাওয়ায় কত দুষ্ট লোকের খপ্পরে পড়তে হয় তারঅনেক সময় গাড়িতে না উঠতে পেরে ফার্মগেট থেকে শাহবাগ আসে ৬০ টাকা দিয়েআবার শাহবাগ থেকে ফার্মগেট যায় ৮০ টাকা দিয়েতারপর চাকরি করতে যেয়ে কলিকদের সাথে আচার ব্যবহার চাল চলন, কথা বার্তায় কেমন যেন সবাই একটু খাটাতে চায়গ্রামের বলে সরলতার সুযোগ নেইএকটু ভুল হলেও ধমকঅনেকের আবার দূরের আত্নীয় ঢাকায় আছেন দীর্ঘদিন ধরেএলাকা থেকে নতুন কেউ ঢাকায় এসেছে শোনে আকে উঠে তারাতুই ঢাকায় আসলি আর জানালি নাতারাও নানা সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করেএদিক সেদিক বুদ্ধি দেয়কিছুটা ভাল কিছুটা মন্দএভাবেই চলে দিন কালতবু থমে যায়নি দিনবড় হতে হবে স্বপ্ন অনেক বুকে

মেসের সহপাঠীদের কেউ একেক জন একেক জেলারএকেক ধরনের মন মানসিকতাতারপরও অসহায় হয়ে চলতে হয় মেয়েদের সাথেএদের কেউ আবার প্রেম করে বয় ফ্রেন্ড আছেকেউ আবার ঢাকায় এসে লুকিয়ে বিয়ে করে বাবা মাকি না জানিয়েএমনই একজন জুট ছদ্দ নাম লিটন, নদীতার লুকিয়েই বিয়ে করেছেছেলে তিতুমীরে তৃতীয় বর্ষে, মেয়ে ইডেনে তৃতীয় বর্ষেভালই জমে উঠছে লুকিয়ে বিয়ে করার মজামাঝে মাঝে ঝগড়া হয়অনেকে বলে এদের সংসারটা হয়তো ভেঙ্গেই যাবেতবে ভাঙ্গা আর গড়ার মধ্যেই চলছে দিনকাল

এমনই এক জুটির কবলে পড়ে সদ্য ৩ মাস হলো নানা সমস্যায় পড়ে বড় হওয়া গ্রামের অসহায় মেয়ে মণিজুটিদের হাতে নেয় টাকা, তাই নানা রকম ফন্দি আটে টাকা কামানোরযেমন করেই হোক প্রেমের বিয়ে বিজয়ী হতে হবেতাই হাতে নেই নানা ধান্দাঅসহায় মণি বুঝতে পারেনি তাদের ফন্দিপ্রায় হোস্টেলে নদীর কাছে আসে লিটনতবে তার সাথে আসে মামা নামের কেউমামা শহরের বড় ব্যবসায়ীবসবাস লিটনের সাথে একটি সাবলেট বাসায়একসাথে থাকার কারণেই প্রায়ই মামা আসে লিটনের সাথেতবে একদিন হোস্টেলে এসে নদীর বান্ধবী গ্রামের মণির সাথে পরিচয় হয়মনের অজান্তেই মণিকে ভাল লেগে যায় মামারআটে নানা ফন্দিতারপর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর দেখা করতে আসে মামামামা বলে জানো আমি কেন আসি প্রতিদিনকেবল মণিকে দেখতেমণিকে একদিন সরাসরি অফার দেয় মামাআমি তোকে বিয়ে করতে চায়তোর সাথে প্রেম করতে চায়মণির সব সময় নাগ্রামের গরীর ঘরের মেয়ে বাবা মায়েই ইচ্ছা ছাড়া কিছুই হবে না 

তবে মামার ফন্দি মণিকে আমার চাইই চাইনদী আর লিটনকে ম্যানেজ করে সেযত টাকাই লাগুক নাএকদিন নদী বলে মণি চল তোকে আজ এক জায়গায় নিয়ে যাবোকোথায় বলা যাবে নাদেখবিইতোমণি বলে না বল কোথায়নদী বলে লিটনের বাসায়তো লিটন নদীর লুকিয়ে বিয়ে করা জামাই যেহেতু সেখানে যাওয়াতো যেতেই পারেএদিকে, দুই তিন মাসে হোস্টেলে যাতায়াতে লিটনকে দুলোভাই আর মামার সাথে বেশ সখ্য গড়ে উঠে মণিরতাই নদীর প্রস্তাবটা ফেলতে পারেনা মণিতবে, মামা কথা মনে নেই মণিরলিটনের বাসা মহাখালিতে তিুতুমীর কলেজের পিছনের একটা সাবলেটেসন্ধ্যায় বেরিয়ে গেলো দুজনবিকেলের নাস্তা করে অনেক গল্পের এক পর্যায়ে মামা বলে বসলো চল আজ আমরা ব্যতিক্রম ধরনের একটা কিছু করিএজন্য ড্রিংস মানে বেয়ার খাওয়া যেতে পারেমণি জানে বেয়ার কিকিছুই কৌতুহল তো থাকতেই পারেতাই ৪ জনে রেস্টুরেন্ট থেকে বড় এক বোতল বেয়ার নিলোসব নিয়ে আসলো বাসায়২ মেয়েকে খাওয়ালো ৩ পিক করেআর তাতে তারা হয়ে গেল সেন্সলেসএগুলো খাবার পর থেকে কিছুই বলতে পারেনি নদী ও মণিতবে লিটন ও মামা খায় একটা করেতাদের কোন সমস্যা হয়নিতারপর মেয়ে দুটো সারারাত আর রাত পার হয়ে সকাল পর্যন্ত অচেতন ছিল

এদিকে, কোন ভাই, মণিকে খোঁজ নেয় হোস্টেলেমেসের কেউ বলতে পারে না মণি আর নদী কোথায়হোস্টেল কর্তৃপক্ষও জানে না মেয়েরা কোথায়অনেক খোঁজাখুজির পর সকালে নদী আসলো হোস্টেলে বলে রাতে ছিলাম আত্মীয়ের বাসায়এদিকে মণি যায় সকাল ৯টায় অফিস থাকলেও সাড়ে ১০টায়অফিসেও ধরা এতো দেরি হলো কেনহোস্টেলের চাপএরইমধ্যে বাসায় জানাজানি হয়ে যায় মণি হোস্টেলে রাতে ছিল নাকথা শুনে সেদিনই অভিভাবক আসে ঢাকায়সব শুনে বলে আমার মেয়ে মণির উচ্চ শিক্ষার দরকার নেইআমি আমার মেয়েকে হারাতে চাই নাআমার জেলাতেই থাকতে চাইদরকার নাই উচ্চ শিক্ষারতারপর ইডেনে আর ভর্তি হওয়া হয়ে উঠলো না মণিরবাবা মায়ের দিকে তাকিয়ে চলে গেল গ্রামেসেখানেই পড়াশোনা শুরুহয়তো একটা বিয়ে দিয়ে বাকী কাজটা সারতে চায় বাবা মাকি আর করবে মণিজীবনে না বুঝে ভুল করেছেসেজন্য বাবা মায়ের কথাতো মানতেই হবে  তবে, মণি আর বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ ব্যর্থ করতে দায়ী কেএ সমাজনাকী স্বার্থপর চরিত্রহীনা লিটন আর মামা টাইপের কিছু ব্যক্তিএ প্রশ্নই আমাদের মতো সচেতন মহলেরএরকম অনেক স্বপ্ন ধুলিস্বা হয়ে যায় মণির মতোঢাকা শহরের আধুনিক ছোঁয়া আর অস চরিত্রের লোকের কাছে ধরা পড়ে নিজের স্বতিত্ব আর মান মর্যাদা হারিয়ে ফেলছে আজকের উঠতি বয়সের তরুণ তরুণীরা

আশা করি আমি ও আমাদের এসব অপ্রকাশিত দুঃখ ও কষ্টগুলো দূর করতে মেয়েদের প্রয়োজনীয় হোস্টেল তৈরী, মেয়ের নিরাপত্তা বাড়ানো, মেয়েদের বাজেট বাড়ানো, আনাচে কানাচে গড়ে ওঠা হোস্টেলগুলোর জন্য আইন তৈরীসহ নানা সুবিধা বাড়াতে সরকার, প্রশাসন বা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসবেদূর হবে আমি ও আমাদের দুঃখ এ আশা একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে করতেই পারি